অস্বস্তিকর ক্যারেক্টার স্টাডি, নিশ্চল ক্যামেরাওয়ার্ক, ধূসর কিন্তু মনোমুগ্ধকর সিনেমাটোগ্রাফি আর আবহ সঙ্গীতের অনুপস্থিতি মিলে অভিনব একটি উপহার দিয়েছেন পরিচালক। স্লো বার্ন মুভি হলেও অগ্রাহ্য করার উপায় নেই সেজন্য।
ভয়ানক এক ক্লিফহ্যাঙ্গার দিয়ে শেষ হয়েছিল ২০১৮ এর ‘অ্যাভেঞ্জারস: ইনফিনিটি ওয়ার'। ভক্তদের একবছরের রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার প্রহরশেষে গত ২৬শে এপ্রিল বিশ্বজুড়ে মুক্তি পেল অ্যাভেঞ্জারস সিরিজের চতুর্থ পর্ব।
কেবল ছোট্ট একটা শব্দ উচ্চারণ করার পরেই আচমকা অতিমানবিক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে পড়ে ১৪ বছরের এক কিশোর।
এই কুখ্যাত বর্ণবাদী দলের কাছ থেকেই একবার সম্মানসূচক নাইট উপাধি পেয়ে গিয়েছিলেন এক কৃষ্ণাঙ্গ পুলিশ অফিসার।
সহপ্রযোজক ফিল লর্ড বলেছেন, মুভিটিকে যেকোনো অবস্থায় হঠাৎ করে থামালে হাতে আঁকা কমিক বইয়ের ইলাস্ট্রেশন বলে মনে হবে।
আজকের দিনের সুপারহিরো এবং সায়েন্স ফিকশন পাগল যেই পপ কালচার, তার হোতা তিনি, এটা বললেও খুব বেশি অত্যুক্তি হবে না।
সুপারম্যান, ব্যাটম্যান, ওয়ান্ডার ওম্যান, ফ্ল্যাশের মতো তুমুল জনপ্রিয় ডিসি সুপারহিরোদের ভিড়ে অ্যাকোয়াম্যানকে কিছুটা আন্ডারডগ হিসেবেই বিবেচনা করা হত এতদিন ধরে।
মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের অংশ না হয়েও মুভিটি কোনো অংশে কম যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই ভেনমের ট্রিলজি আসার কথা চূড়ান্ত হয়ে গেছে।
টানটান উত্তেজনাপূর্ণ কাহিনী, পদে পদে প্লট টুইস্ট আর দুর্দান্ত অভিনয়ের সমণ্বয়ে গত কয়েক বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রিটিশ সিরিজগুলোর তালিকায় অনায়াসেই স্থান করে নিয়েছে এই সিরিজটি।
এতসব চোখধাঁধানো সিজিআই ইফেক্ট কিংবা টুইস্টওয়ালা কাহিনীর ভিড়েও যে ইনক্রেডিবল পরিবারের আবেদন একটুও কমেনি, তাই প্রমাণ করে দিলো ইনক্রেডিবলস ২